1. admin@dailyonusondhanpratidin.com : dailyop :
  2. md.emdadulhaq3762@gmail.com : newsdesk :
মোটরবাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ কুষ্টিয়াবাসি - Daily Onusondhan Pratidin
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন

মোটরবাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ কুষ্টিয়াবাসি

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১০ Time View
Spread the love

অনুসন্ধান ডেস্ক:// মোটরবাইকের বিকট শব্দের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কুষ্টিয়াবাসী। উচ্চ শব্দের মোটরবাইকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। দলবেঁধে চলা উচ্চ শব্দের এসব মোটরবাইকের কারণে পাড়া-মহল্লার পথচারী ও যাত্রীদের মধ্যে অনেক সময় আতঙ্কও দেখা যায়।

অভিযোগ আছে, বাইকের সাইলেন্সার খুলে হলার সংযোজন/হাইড্রোলিক হর্ন/বিকট বিকৃত শব্দ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ নিলেও বিক্রয়কারী/সংযোজনকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। ফলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর প্ররোচনায় তরুণরা এসব বিকট শব্দের বাইকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। বাইক চালকরা সাইলেন্সারবিহীণ শব্দ/হাইড্রোলিক হর্নের বিকট শব্দকে শখের বিষয় বিবেচনা করলেও বিশেষজ্ঞরা এটাকে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে মৃত্যুর কারণ হিসেবেই বিবেচনা করছেন।

কুষ্টিয়া জেলার ট্রাফিক পুলিশের টিআই শাহীনুর রহমান জানান, অতিরিক্ত মাত্রায় হর্ন বাজানো এবং নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে জেলা পুলিশ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। মোটরসাইকেলসহ সকল পরিবহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। ডিউটিরত সকল ট্রাফিক পুলিশকে এইসকল ফিটনেস গুরুত্বের সাথে দেখতে কঠোরভাবে ‍নির্দেষ দেয়া হয়েছে।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. প্রবীর কুমার সাহা (অপু) বিবার্তাকে বলেন, এসব শব্দে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ শিশুর শব্দধারণ ক্ষমতা বড়দের মতো না হওয়ায় শিশুদের বধির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব শব্দে তাদের মস্তিষ্ক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। তাছাড়া শিশুদের মনে স্থায়ী একটি ভয় তৈরি করে, যা শিশুর মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।

কুষ্টিয়া জেলায় এই সব শব্দদূষণ নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় কারণে অকারণে কিশোরদের অনুষ্ঠান।কুষ্টিয়ায় শহরের হরিপুর ব্রিজ,কুষ্টিয়ায় বাইপাস,সৈয়দ মাছ উদ রুমি সেতুসহ গভীর রাতে কুষ্টিয়ার এনএস রোডে এই কিশোর গ্যাং উচ্চ শব্দযুক্ত হর্ন, বাইকের সাইলেন্সার খুলে উচ্চ শব্দ করে দাপিয়ে বেরায়।যার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। কয়েকজনে মিলে টাকা তুলে আনা হয় সাউন্ড বক্স। এই টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে কখনো মায়ের আঁচল, কখনো ঘরের ছোট আসবার পত্র লুকিয়ে বিক্রি, বন্ধুমহল থেকে টাকা ধার নিয়ে ঘটা করে আয়োজন করে শব্দ দূষণ করা হয়। যা চলে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 dailyonusondhanpratidin.com
Design & Developed BY Lalon Shah Web Host