নিজস্ব ডেস্ক:// কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার অধীনে কয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সলিম জুয়ার আসর বসিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।সলিম ইউপি সদস্য হয়েও নিজেই অভিনয় কায়দায় জুয়া খেলে ও পাশাপাশি জুয়ার বোর্ড বসিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।কয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন কলা বাগান,বাশ বাগান,সেগুন বাগান ও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে দিন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসছে কোটি কোটি টাকার জুয়ার আসর। ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, কাটাকাটি, নিপুণ, চড়াচড়ি, ডায়েস, চরকি রেমিসহ নানা নামের জুয়ার লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই পথে বসছেন। এতে পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক নানা অসঙ্গতি বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র সলিম মেম্বার। অথচ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোককে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে এসব কর্মকাণ্ড।
সূত্র মতে, কয়া ইউপিতে জুয়ার আসর বসছে এখন যত্রতত্র ভাবে। কয়ায় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতেও বসছে জুয়ার আসর। পাড়া-মহল্লার জুয়ার আসরগুলোতেও লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়। প্রভাবশালী মহলের শেল্টারে কয়ায় অন্তত ১০ টির বেশি জুয়ার স্পট চলছে। সকাল ১১ টা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এসব জুয়ার আসর খোলা থাকে। পাহারায় নিয়োজিত থাকে নিজস্ব টিম।
এলাকাবাসির একাধিক সূএে জানা যায়, সলিম মেম্বার হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।বিভিন্ন ভাতার কার্ড,প্রতিবন্ধী কার্ড,বিধভা ভাতার কার্ডসহ সরকারি বিভিন্ন অনুদানে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে।শুধু তাই নয় নিজেদের মধ্যে বেশি সরকারি সহায়তা প্রদান করারও অভিযোগ রয়েছে।সলিম মেম্বার হওয়ার পর থেকে কয়ার ৫ নং ওয়ার্ড হয়ে উঠেছে মাদক,জুয়ার বোর্ড সহ নানা অপকর্ম বেড়ে গিয়েছে।প্রতিটি অন্যায় কাজের সাথে মেম্বার সরাসরি জড়িত থাকে।বিভিন্ন বিচারের নামে পক্ষপাতিত্ব করারও অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে কয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সলিম উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি জুয়া খেলি।সেটা সময় কাটানোর জন্য। জুয়ার বোর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে খেলছে,সেখানে ট্যাপেন্টাডল,গাঁজা,ইয়াবাও পাওয়া যায়।কে বা কাহারা এই সব মাদক বিক্রি করে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি জানি না।তিনি আরও বলেন আমি চেষ্টা করছি এইসব বন্ধ করার জন্য।থানায় বন্ধ করার জন্য কথা বলেছি।
এই বিষয়ে কয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেনের
সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ইউনিয়নে জুয়ার বোর্ড,মাদকে ভরে গেছে।আমি বিভিন্নভাবে বন্ধ করার চেষ্টা করছি।কুমারখালী থানা ও এসপি মহাদয়ের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছি।
কয়া ইউনিয়নের ইনচার্জ এসআই অপূর্বের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,জুয়ার বোর্ডের বিষয়টা আমার জানা ছিল না।আপনার কাছ থেকে মাএ জানলাম।আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকের বিষয়টি অবগত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।
বার্তা বিভাগ : মোবাইল- ০১৭১০-৭২২৮৮৪, ই-মেইল: dailyanusandhanpratidin@gmail.com