নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ নাহার ক্লিনিকে অপারেশন করতে গিয়ে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে ! ওই প্রসূতি মায়ের নাম শিল্পী খাতুন ( ৩৪)। এ ঘটনার পর ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক রয়েছে। ৩ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ক্লিনিকের বেশ কয়েকজন দালাল মৃত প্রসূতি পরিবারের সদস্যদের সাথে দফায় দফায় টাকার প্রস্তাব দিয়ে সমোঝতার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পরিবারের দাবি চিকিৎসকের অবহেলার কারণে এই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। (৪ জুন) দুপুরে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সন্ধায় দোস্তপাড়া গোরস্তানে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানাযায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়া এলাকার ক্যানাল পাড়ার শিল্পী খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে এক দালাল তাদের পোড়াদহ নাহার ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর একজন নার্স জানান ডাক্তার নেই, আবার অন্য স্টাফ পরিচয়ে এসে বলে ডাক্তার আছে রোগীকে দ্রুত ওটি রুমে নিয়ে যেতে হবে। এই বলে তারা তরিঘরে করে রোগীকে ওটিতে নিয়ে যায়। কিন্তু কোন ডাক্তার সিজার করবেন কিছুই রোগীর স্বজনদের জানানো হয়নি। শুধু পরিবারের সদস্যদের সম্মতি পত্রে সাক্ষার করিয়ে নেন। কিছুক্ষন পরে ক্লিনিকের স্টাফ পরিচয়ে একজন জানান প্রসূতির শারীরিক অবস্থা ভালো না দ্রুত সিজার করতে গিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে । কিছু না বুঝে হতাশ হয়ে ক্লিনিকে বসে থাকে প্রসূতি শিল্পী মা আছমা খাতুন ও নানী শান্তি খাতুন।
এর বেশ কিছু সময় পরে একজন নার্স এসে জানায় প্রসূতির প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এক পর্যায়ে জানান অপারেশন রুমেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ সংবাদ শুনে প্রসূতির মা এবং নানী চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। তাদের কান্না দেখে ছুটে আশে আশপাশের লোকজন এবং পরে সেখানে ছূটে যায় পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা। ঘটনার পর পরই সুযোগে বুঝে পালিয়ে যায় সিজার করা ভুয়া ডাক্তার ও ক্লিনিকের মালিক। কৌশলে সকটে পড়ে নার্স। সেখানে শুরু হয় শোরগোল চেচামেচি। খবর পেয়ে ছুটে যায় মিরপুর থানা পুলিশ।
এরই মাঝে এলাকার দুই দালাল ইবাদত কবিরাজ ও ওসমান মালিক
বার্তা বিভাগ : মোবাইল- ০১৭১০-৭২২৮৮৪, ই-মেইল: dailyanusandhanpratidin@gmail.com