অনুসন্ধান ডেস্ক :-
মোবাইল হ্যান্ডসেটসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া (বেটিং) পরিচালনা করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হাটশ হরিপুরের রেলওয়ে কর্মচারী জিল্লু (৩৮) । সে অনলাইন জুয়া (বেটিং) চক্রের বাংলাদেশের হাটশ হরিপুরসহ কুষ্টিয়ার ও আশপাশ জেলার মাস্টার এজেন্ট।জিল্লু কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুরের মকসেদ আলীর ছেলে।এলকাবাসি কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, জিল্লু সরকারি চাকুরি করে কোন রকম জীবন পার করছিল।জিল্লু খুব দরিদ্র পরিবারের ছেলে ছিল।হঠাৎ কি এমন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে গেলো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেলো।জিল্লু অন লাইন বেটিং এর মাধ্যমে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।জিল্লু সামান্য রেলওয়ে কর্মচারি।এখন জিল্লুর ব্যাংকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা,জমি,বাড়িসহ অনেক কিছু করেছে।এছাড়াও জিল্লু হরিপুরের কয়েক মাদক ব্যবসায়ীর সাথে পার্টনারশীপ ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।শুধু মাদক কারবারির সাথে নয় জুয়ার বোর্ড বসানোর ব্যাক্তিদের সাথে সক্ষত্যা রয়েছে।
জিল্লু হাটশ হরিপুরসহ কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষকে নানা কৌশলে অন লাইন জুয়ার প্লোবন দেখিয়ে তাদের সর্বশান্ত করে ছেড়েছে। আর এই চক্রের প্রায় ৮/১০ জন সদস্যের সহায়তায় বেটিং পরিচালনার এসব অর্থের লেনদেন করা হতো মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে (ই-ট্রানজেকশন)।
জিল্লু এ কাজে অবৈধ অর্থের আদান-প্রদান মোবাইল ব্যাংকিং/ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা হয়। এখানে কারেন্সি হিসেবে পিবিইউ সাইটের নিজস্ব ভার্চ্যুয়াল কারেন্সি ব্যবহার করতো। এভাবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের টাকা জিল্লু বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নেয়।
এই বিষয়ে জিল্লুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনলাইন জুয়া (বেটিং) আগে খেলতাম।কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট করে দিয়েছি।যারা অ্যাকাউন্ট করতে পারে না,আমার কাছে আসলে আমি অ্যাকউন্ট খুলে দিয়েছি।এর বেশি কিছু নয়।এখন আর খেলি না।সবাই জেনে বুঝে খেলছে।প্রতারনার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এই সব বিষয়ে কিছুই জানিনা।
অনলাইন জুয়া (বেটিং) বিষয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, খেলাগুলোর এই সাইটগুলো রাশিয়া ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের। দেশে থাকা মাস্টার এজেন্টরা (জিল্লুর মত) তাদের কাছ থেকে পিবিইউ নিয়ে খেলাগুলো পরিচালনা করছে মাস্টার এজেন্টরা।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠক ও সুশীল সমাজের ব্যাক্তিদের সাথে কথা বললে তারা জানান পারিবারিক সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যম দিয়ে এই অনলাইন জুয়া সাইটগুলো থেকে যুবকদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তারপরও প্রত্যেক পরিবারকে সচেতন হতে হবে। জুয়ার মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে।তারা প্রসাশনের বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করার কথা জানান। একমাত্র পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনারন মাধ্যমেই তা বন্ধ করা সম্ভব।
বার্তা বিভাগ : মোবাইল- ০১৭১০-৭২২৮৮৪, ই-মেইল: dailyanusandhanpratidin@gmail.com