অনুসন্ধান ডেস্ক :-
কুষ্টিয়া শহরস্থ ৩নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া এলাকার কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম ওরফে মাদী শরীফসহ পাঁচজন আটক হয়েছে। গত শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজা মুনশাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরিফের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৭৫ পিস ইয়াবাসহ কুষ্টিয়া শহরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শরীফসহ ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন উত্তর আমলাপাড়ার মৃত হাতেম আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে মাদি শরীফ (৪৪), কালিশঙ্করপুর এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে ইমরান হোসেন রোমান (৩৫), হাউজিং এলাকার মোঃ জাকির হোসেনের ছেলে আশরাফুল হোসেন মিঠু (৩৪), চৌড়হাস এলাকার ইউনুস শেখের ছেলে ইমন শেখ ও আঙুয়াপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ ইসলাম সোহেল। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে প্রাণঘাতি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। শরিফুল ইসলাম শরিফ দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় দাপটের সাথে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে জানা গেছে। সাধারণ মানুষ বা প্রশাসনের সন্দেহের তালিকায় না আসতে শরীফ একেক সময় একেক রকম পন্থা অবলম্বন করে। উত্তর আমলাপাড়া এলাকার একাধিকজন জানায়, হাতিমের ছেলে মাদি শরীফ কোন কাজ করে না। সারাদিন কখনো মোটরসাইকেল, কখনো বাইসাইকেল, কখনো পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় মরণ নেশা ইয়াবা বিক্রি করে শরিফ। তার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লোকজন যাতায়াত করে। কেউ কিছু বলতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা শরীফকে খুব ভয় পাই। এ ধরনের কাজ সে অনেক আগে থেকেই করে চলেছে। শরীফ এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। উঠতি বয়সী অচেনা ছেলেরা প্রতিনিয়ত শরীফের বাড়িতে যাওয়া-আসাকরে। যার কারণে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেরা মরণ নেশা ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা এলাকাবাসী শরীফসহ তার সাথে জড়িত সকলের উপযুক্ত শাস্তি চাই, এদের মত মাদক ব্যবসায়ীদের থামানো না গেলে সমাজ ক্রমেই ধ্বংসের দিকে চলে যাবে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শরিফ প্রতিনিয়তই তার থাকার ঘরে রাত ৮টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করে। মাদক ব্যবসায়ী শরীফ শুধু ইয়াবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, সে সব ধরনের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, ওদের কাছ থেকে ৭৫ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। মামলা দেওয়া হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।