কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:-
টানাপোড়েনের সংসারে তিন কন্যা সন্তানের মা শামীমা খাতুনের শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। সর্বস্ব বিক্রি করে কোনমতে চলছে চিকিৎসা। কিন্তু সে চিকিৎসা যথেষ্ট নয়। উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন মোটা অংকের টাকা। যা তাঁর সবকিছু বিক্রি করে দিয়েও যোগাড় করা একেবারেই সম্ভব হয়নি। তাই তিনি জীবন বাঁচাতে দেশবাসী ও দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শাশীমা খাতুন (৩৫) ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানাধীন তৈলটুপি গ্রামের টিপুর স্ত্রী।
শামীমা ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। টিপু-শামীমার সংসারে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বড়ো মেয়ে শ্রেণির ছাত্রী, মেজো মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট মেয়েটার বয়স ৩ বছর। শামীমার স্বামী একজন বর্গা চাষী। পরের জমি বর্গায় চাষ করে কোনমতে চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করেই বিধি যেন বাম হয়ে দাঁড়ায়! শামীমার শরীরে সনাক্ত হয় মরণব্যাধি ক্যান্সার। যেখানে যা ছিলো তাই বিক্রি করে শুরু হয় চিকিৎসা।এরপর আত্মীয় স্বজনের সাধ্য মতো সাহায্যেও কিছুদিন চিকিৎসা চলে। কিন্তু ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় সর্বস্ব বিক্রি ও স্বজনদের সহযোগিতায় আর কুল পাচ্ছে না। শামীমা ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।সেখানে প্রতিবার কেমোথেরাপি নিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এমতাবস্থায় জীবন বাঁচাতে দেশবাসী,প্রবাসী এবং দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা জানিয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ক্যান্সার আক্রান্ত শামীমা।