1. admin@dailyonusondhanpratidin.com : dailyop :
  2. md.emdadulhaq3762@gmail.com : newsdesk :
আজ ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া হানাদার মুক্ত দিবস - Daily Onusondhan Pratidin
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন

আজ ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া হানাদার মুক্ত দিবস

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯৭ Time View
Spread the love

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:-

আজ ১১ ডিসেম্বর (সোমবার) কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার মুক্তি সেনারা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে কুষ্টিয়াকে মুক্ত করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ মাসজুড়েই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল লড়াই হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ ভোরে বাংলার দামাল ছেলেরা কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পাকিস্তানি হানাদার ক্যাম্পে হামলা চালান। এ যুদ্ধে নিহত হয় অসংখ্য পাকিস্তানি সেনা। এরপর বংশীতলা, দুর্বাচারা, আড়পাড়া, মঠবাড়িয়া, মিরপুরের কাকিলাদহ, কুমারখালীর ঘাসখালিসহ ৪৪টি যুদ্ধ সংঘটিত হয় কুষ্টিয়া জেলায়। শেষপর্যন্ত ১ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমবারের মতো মুক্ত হয় কুষ্টিয়া। পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। তারা আবারও কুষ্টিয়া দখলে নিয়ে গণহত্যার উৎসবে মেতে উঠে। তবে ৬ ডিসেম্বর তিন দিক থেকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা হানাদারমুক্ত হতে থাকে। ৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহর ছাড়া অন্যান্য এলাকা শত্রুমুক্ত হয়। তবে তুমুল যুদ্ধ চলে কুষ্টিয়ায়। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা সাহসীকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মাটি শত্রুমুক্ত করেন।

হাজার হাজার মানুষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় নেমে আসেন। পথে প্রান্তরে গড়ে তোলা হয়েছিল বেরিক্যাড। লাঠি-সড়কি, ঢাল-তলোয়ার নিয়ে উপজেলার হরিপুর-বারখাদা, জুগিয়া, আলামপুর, দহকোলা, জিয়ারুখী, কয়া, সুলতানপুর, পোড়াদহ, বাড়াদিসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ছুটে এসেছিলেন কুষ্টিয়া শহরে। মুক্তির আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলেন তারা।

কুষ্টিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নাসিম উদ্দিন আহম্মেদ জানান, কুষ্টিয়া জেলায় ছোটবড় মোট ৪৪টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে দৌলতপুরে ১৯টি, মিরপুরে ৮টি, ভেড়ামারায় ২টি, কুষ্টিয়া সদরে ৮টি, কুমারখালী ৬টি এবং খোকসা উপজেলায় ১টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। শহীদ হন শতাধিক যোদ্ধা। আহত হন আড়াই শতাধিক। তাছাড়াও গণহত্যার শিকার হন ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 dailyonusondhanpratidin.com
Design & Developed BY Lalon Shah Web Host