জাহিদ হাসান ,ভেড়ামারা প্রতিনিধি :-
ত্যা নয় পরিকল্পিত ভাবে মেয়েকে নির্যাতনের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো বলে অভিযোগ করছেন শিমলার মা ও তার পরিবার।মাত্র দেড় মাস আগে, ভেড়ামারার ধরমপুর গোরস্থানপাড়া এলাকার ভ্যানচালক ছিনাদ আলীর কন্যা শ্যামলী আক্তার শিমলাকে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী মোকারিমপুর ইউনিয়নের ফকিরাবাদ বকশিপাড়ার কাসেম আলীর ছেলে অটো-চালক মিন্টু। বিয়ের সময় তার আগেরবৌ ও ৪ বছরের সন্তানের কথা গোপন রাখে মিন্টু।
বিয়ের দেড় মাস পর গত বৃহস্পতিবার সকাল
সাড়ে ৭ টার দিকে শিমলার স্বামীর বাড়ী থেকে ফোন আসে শিমলার মায়ের বাড়ীতে। শিমলা গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে ঝুলছে। সংবাদ পেয়ে ছুটে যায় শিমলার পরিবারের লোকজন মিন্টুর বাড়ীতে।
তখনও শিমলার নিথর দেহ রশিতে ঝুলছিলো। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ শিমলার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পোষ্ট মর্টেম শেষে সেদিনই সন্ধ্যারপর শিমলার লাশ মায়ের বাড়ী নিয়ে আসা হয়। এবং বাদ এশা নিজ বাড়ীর সামনে ধরমপুর গোরস্থানে জানাযা শেষে দাফন করা হয়।
এঘটনায় ভেড়ামারা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে যার নং-০৪ তারিখ- ২৫ /০১/২৪ ইং
শিমলার মা ও বাবা জানান,
শিমলাকে তার পাষন্ড স্বামী মিন্টু তার আগের বউ ও
মিন্টুর মা মিলে হত্যা করে দড়িতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
অটো-চালক মিন্টুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন শিমলার অসহায় পরিবার ও এলাকাবাসী।