নিজস্ব প্রতিবেদক:-

কুষ্টিয়ায় হরিপুরে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মধ্যে পড়েছে নদীর দুই পাড়ের মানুষ ও আবাদি জমি। হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ৫১.৮০ বর্গ কি.মি.।ইউনিয়নটি একটি নদী বিধৌত এলাকা।পদ্মা এবং গড়াই নদী ইউনিয়নটিকে তিন দিক থেকে বেষ্টন করে রয়েছে।অথচ অবৈধভাবে পদ্মা থেকে বালি উওোলনের ফলে হরিপুরের ১ নং ওয়ার্ড ও ৯ নং ওয়ার্ড হুমকির মুখে।

প্রশাসনের নাকের ডগায় ১-২ টি স্থানে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হলেও যেন দেখার কেউ নেই। আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন পদ্মার দুই পারের সাধারণ জনগন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুরের পদ্মার নদীতে গিয়ে দেখা গেছে নদীতে কোনো চর না থাকলেও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করা হচ্ছে। খনন করে বালু উত্তোলনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইজারাদাররা তা মানছেন না।

নদীর পারের কাছ থেকে বালু খনন করার কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে হরিপুর ও ভবানীপুর দুইটি গ্রাম।ফসলি জমি নদীর গর্ভে যেতে শুরু করেছে অবৈধভাবে বালু উওোলনের কারণে।এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী দাড় করিয়ে বালু উওোলন করছে।সাধারণ খেয়ে খাওয়া কৃষকরা নিষেধ করলেও তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।এলাকাবাসির অভিযোগ ,প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ লক্ষ্য টাকা বালি উওোলন করে বিক্রি করছে একটি সন্ত্রাসী মহল।যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন এখনই ঠেকানো না গেলে নদীগর্ভে বিলীন হবে আরও অনেক স্থাপনা।