চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের তিনবারের মেয়াদে আওয়ামী দুশ শাসনের স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর সাবেক এমপি আলী আজগর টগর। দর্শনাথানা, জীবন নগন থানা, দামুড়হুদা থানা এলাকায় ভয় ভীতি ত্রাশ এবং লুটপাট এর রাজত্ব বিস্তার করেন। সাবেক এম পি আলী আজগর টগর দেশ ছেড়ে পালালেও,তার অন্যতম দোসর মাস্টারমাইন্ড খ্যাত” আব্দুল্লাহ আল মামুন।মামুন ছোট্টশলুয়া গ্রামের তিতুদাহ ইউনিয়নের হাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে।মামুন “লিডার নামে অত্র এলাকায় পরিচিতি।সাবেক এমপি আলী আজগর টগর এর জামাই পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এবং রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে! এলাকা সূত্রে জানা যায়,আব্দুল্লাহ আল মামুন মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করতেন, পৈতৃক জমি ছিল দুই থেকে তিন বিঘা।জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও কিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন। চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সাবেক এমপি সোলাইমাল হক( সেলুন)এর স্বৈরাচার রাজনীতির ফলে কেরু এন্ড কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে বেগমপুর ফার্ম ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন, দায়িত্ব পাবার পর থেকে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে,কৃষি ফার্মের লুটপাট শুরু করেন। গাছ কাটা থেকে শুরু করে রাতের আঁধারে অনেক ধরনের পাপ কর্ম করে থাকেন।রাতারাতি হয়ে ওঠেন লাখ লাখ টাকার মালিক। পরবর্তীতে, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগর টগরের জামাই পরিচয় দিয়ে কেরু এন্ড কোম্পানির মদ ফ্যাক্টরিতে এসে, মদ কেলেঙ্কারির অনেক ঘটনায় ঘটে।কিন্তু আচার্য হলেও সত্য,সাবেক এমপি আলী আজগর টগরের আস্তাভাজন হওয়ায় ভাগাভাগিতে কোন ধরনের সমস্যা না হওয়ায় লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেন। গোপন সূত্র জানা গেছে এখন তার এবং তার পরিবারের নামে ২০০ থেকে ৩০০ বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। আরো জানা যায়, সব ধরনের বড় বড় নেতা এবং প্রশাসন তার নিয়ন্ত্রণে।এখনো তার আধিপত্য ধরে রেখে এলাকা পর্যায়ে সব ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে।৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করলেও, এখনো পর্যন্ত দর্শনা থানার এ অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা অর্জন হয়নি। এমনটাই বলছেন অত্র গ্রামের ভুক্তভোগী জনসাধারণ। স্বৈরাচারী প্রভাবের কারণে গ্রামের মানুষকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নামে এখনো পর্যন্ত কেউ একটি মামলা করার সাহস করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য কোন দলের কথা বললে, তার লালিত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি এবং হামলার মত জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ।সন্ধ্যা হলেই তার ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রাম তথা মহল্লায় টহল দিতে থাকে। রাতে গ্রামের মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে,জনমনে আতঙ্ক ছরিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, নির্বাচনী এলাকায় ভোটকেন্দ্র দখল এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হামলা ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। অত্যাচারিত এলাকাবাসী তাদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসন এবং সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।