ঢাকাSunday , 13 July 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. জাতীয়
  7. দেশজুড়ে
  8. প্রবাস
  9. ফিচার
  10. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. ভ্রমণ
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুর্নীতির প্রতিবাদে নারী ইউপি সদস্যের ওপর নৃশংস হামলা

Link Copied!

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদের জেরে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য রুপসি আক্তার (৩০) নৃশংস শারীরিক হামলার শিকার হয়েছেন। আত্মরক্ষার চেষ্টায় তিনি পাল্টা প্রতিরোধ করলেও হামলাকারীরা তাঁকে রক্তাক্ত করে ছেড়েছে। এ ঘটনায় তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাট (৩২), সদস্য এনামুল হক ডাবলু (৫৫) ও আবু বক্কর (৪০)।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে ব্যাপক দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এনামুল হক ও আবু বক্কর এসব কার্যক্রমে সক্রিয়। রুপসি আক্তার এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ করে আসছিলেন, যা অভিযুক্তদের ক্ষোভের কারণ হয়। গত ৮ জুলাই সকাল ১০টায় ভিডব্লিউবি সভায় যোগ দিতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাঁকে জানানো হয়, মিটিং গোপনে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করলে অভিযুক্তরা বাধ্য হয়ে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মিটিং শুরু করেন। মিটিংয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত জোরপূর্বক বাস্তবায়নের চাপ দেওয়া হয়। রুপসি আক্তার তাতে অস্বীকৃতি জানালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে এনামুল হক ও আবু বক্কর তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তাঁর ঠোঁট রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অভিযুক্তরা চেয়ার দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

রুপসি আক্তার বলেন, “দুই বছর ধরে চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, এনামুল হক, মিজান ও আবু বক্করের সংঘবদ্ধ দুর্নীতির প্রতিবাদ করে আসছি। দুদকে অভিযোগ করেছিলাম, তারা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু সম্রাট দাবি করেন, তিনি টাকা দিয়ে দুদককে ‘ম্যানেজ’ করেছেন। ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের কাছেও অভিযোগ করেছি। তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ মিললেও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “সাবেক এমপি হানিফের দেওয়া ৩০০ টন চালের ১৫টি প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পে ৬ লাখ টাকার বেশি বরাদ্দ থাকলেও কিছু প্রকল্পে কোনো কাজই হয়নি। প্রকল্পগুলো মাত্র ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভিডব্লিউবি সভার নামে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সই করতে বাধ্য করা হয়। আমি রাজি না হওয়ায় আমার ওপর হামলা চালানো হয়।”

১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য লাইলি আক্তার বলেন, “আমাকে একটি প্রকল্পের পিআইসি করা হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়েছে কি না জানি না। জোর করে আমার সই নিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, অনেক পিআইসিকে কাজ দেওয়া হয় না। টাকা তোলার সময় তাদের সই নিয়ে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রুপসি নিজে গর্ভবতী ভাতা ও তার ভাই প্রতিবন্ধী ভাতা নেন। তিনি সবসময় তর্কবিতর্ক করেন। তার অভিযোগ মিথ্যা। তদন্তে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।”

অভিযুক্ত এনামুল হক ও আবু বক্করের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “মেহেদী হাসান এজাহারভুক্ত আসামি নন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”

এ ঘটনা এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।