কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেনের নাম একটি মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ঘটনার সময় তিনি নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে দাবি করেছে পরিবার। এতে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ এবং ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ এলাকায় সংঘটিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আফ্রিদির উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে একাধিক নামের সঙ্গে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেন কে ১নং আসামি করে জান্নাতুন ফেরদৌস টনি বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। তবে পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন ও সময় শিমুল বাসায় অবস্থান করছিলেন।
শিমুল হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং মানহানি করার জন্যই তার নাম এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তারা বলেন, “একজন ছাত্রনেতার সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, কোনো ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ না থাকলে বা ঘটনার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্যত্র অবস্থান করলে তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এতে একজন ছাত্রনেতার ভবিষ্যৎ যেমন অনিশ্চিত হয়, তেমনি সাধারণ মানুষের আস্থাও নষ্ট হয়।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার উদ্দেশ্যে নির্দোষ কাউকে মামলায় জড়ানো হলে তা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এ কারণে তারা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
শিমুল হোসেনের নাম মামলায় কেন অন্তর্ভুক্ত হলো এ প্রশ্নের সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় যেন কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী বা নেতার ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: এমদাদুল হক
মোবাইল : ০১৭৬০-২১২১৯২
মা-মনি সুপার মার্কেট,(তৃতীয় তলা),এনএস রোড কুষ্টিয়া
ই-মেইল: dailyanusandhanpratidin@gmail.com