1. admin@dailyonusondhanpratidin.com : dailyop :
  2. md.emdadulhaq3762@gmail.com : newsdesk :
কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে - Daily Onusondhan Pratidin
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৬ Time View
Spread the love

(প্রতি মাসে ২০০ শত কোটি টাকার মাদক ভারত থেকে কুষ্টিয়াতে আসছে)

কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার নাম দৌলতপুর। জেলার সবচেয়ে বড় এক উপজেলা। মাদকের বড় বড় ব্যবসায়ীরা রয়েছেন এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। সম্প্রতি সারাদেশে মাদক বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু হওয়ায় এদের দৌঁড়ঝাপ কমে গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সখ্যতা রয়েছে। যে কারণে সীমান্ত থেকে মাদক হরহামেশায় শহরের দিকে চলে আসে। তার প্রমাণও দেশের গোয়েন্দা সংস্থা পেয়েছে। তাই তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন প্রতিবেদনে মাদক ব্যবসায়ী ও আশ্রয় প্রশ্রয়কারীদের নামের তালিকার পাশাপাশি পুলিশ-বিজিবি কর্মকর্তাদের নামের তালিকাতেও উঠে এসেছে তাদের নাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার ৪৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা পড়েছে। ভারত থেকে ফেনসিডিল মদ গাজা সবই এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ সীমানায় হরহামেশাই প্রবেশ করে। তবে সম্প্রতি সময়ে ইয়াবাও এই রুট দিয়ে আসছে। সীমান্তে মাদকের অন্যতম রুট হল জামালপুর। এছাড়া এই সীমান্তের চিলমারী, চর চিলমারী, বাংলাবাজার, ফিলিপনগরের আবেদের ঘাট, মহিষককুন্ডি, ভাগজোত মোড়, প্রাগপুর, বিলগাথুয়া, জামালপুর ও ঠোটারপাড়া রুট দিয়ে মাদক বেশি আসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় জামালপুর এলাকায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। এই গ্রামে বাইরের কোন মানুষ সহজেই প্রবেশ করতে পারে না। কেউ যেতে চাইলে তার পেছনে মাদক ব্যবসায়ীদের সোর্স লেগে যায়। তার গতিবিধি নজরে রাখে। কোন নতুন মুখ দেখলেই মাদক ব্যবসায়ীরা সর্তক হয়ে যান। এই গ্রামে প্রায় তিন বছর আগে মাদক ব্যবসায়ী, বিজিবি ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছিল। তারপরও কেউ ধরা পড়েনি।

সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামের বাঁশবাগানের মধ্যে মাদক কেনাবেচা হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা কেনাবেচা করে সীমান্তে শুন্যরেখায় গিয়ে বসে থাকে। সেখানে কেউ যেতে পারে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় জামালপুর এলাকায় অন্যতম মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে লাবু, হাবু, হ্যাবল, ছেনু মন্ডল, মতিন, হাবিল, লালু, মদন। পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মোকাদ্দেস আলী। এদের মধ্যে লাবু, হাবু স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া এক পরিবারের নারী সদস্যসহ বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত। এদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। ওই গ্রামের অন্তত ২০ মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে।

মাদকের স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে– চাউলের বর্ডার, রাজারহাট, রাজার হাট মেইন রোড, চৌড়হাস মোড়, লালন শাহ মাজার, মন্ডলপাড়া, ছেউড়িয়া, ফকিরপাড়া, ভাটাপাড়া, আবদুল আজিজ সড়ক, বিবিরোড, লাইহনী বটতলা, দত্তপাড়া মোড়, আড়ুয়াপাড়া প্রাইমারী স্কুল, আড়ুয়াপাড়া মেইনরোড, কোর্টস্টেশন, বড়বাজার রেলগেট, বাসষ্ট্যান্ড, টার্মিনাল, নফরশাহ মাজার, দেশওয়ালীপাড়া, পোড়াদহ রেলষ্টেশন, ভেড়ামারা ষ্টেশন, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড, খলিশাকুন্ডি দরগাপাড়া, খলিশাকুন্ডি দরগাপাড়া, খলিশাকুন্ডি গোরস্থান এলাকা, তারাগুনিয়া বাজার, বাহিরচর, আল্লারদর্গা বাজার, কালিশংকরপুর। এছাড়া মোটরসাইকেল মোবাইল কলের মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হয় মাদক।

দেশ টিভির এক অনুসন্ধানে উঠে আছে কুষ্টিয়ার মাদকের ভয়াবহ অবস্থার চিএ।প্রতি মাসে ভারত থেকে মাদক আছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার।যা কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলাসহ পাবনা,নাটোর,সিরাজগন্জ,ঢাকা পর্যন্ত এই মাদক বহন করে মাদক ব্যবসায়ীরা।

দৌলতপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদক পাচারের জন্য কিছু মাদক বহনকারিদের ব্যবহার করা হয়।অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তাদের দিয়ে মাদক বহন করে।ভারত থেকে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে মাদক ওপার থেকে ফেলে দিলে বাংলাদেশ থেকে মাদক বহনকারিরা সেই মাদক তুলে এনে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দেয়।যার বিনিময়ে নাম মাএ কিছু টাকা পায়।তবে সব পুলিশের হাতে ধরা পরে মাদক বহনকারিরা।ধোরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায় মাদকের গড ফাদাররা।তারা আরও জানান, মাদকের গড ফাদারদের নাম আসলেই তারা পুলিশকে ম্যানেজ করে নেয়।মাদকের গডফাদার রাজনীতিবিদ,কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ এই সব অপকর্ম করে বেরায়।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কুষ্টিয়ার মাদকের স্পটগুলোতে পুলিশের ব্যাপক নজর রাখা হয়েছে।আমরা সর্বাক্ষনিক চেষ্টা করছি মাদক নির্মুলের জন্য।মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ ঘোষনা করেছে,আমারা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের ধরতে পুলিশ রাতদিন সমানে কাজ করছে। কেউ আর মাথা খাড়া করে দাঁড়াতে পারবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 dailyonusondhanpratidin.com
Design & Developed BY Lalon Shah Web Host