চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :-

চুয়াডাঙ্গা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক আয়োজিত পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে অদ্য ০১.০১.২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় হারানো মোবাইল ফোন ও বিকাশের টাকা উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। হারানো মোবাইল ফোন ও বিকাশের টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন জনাব আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা।

পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা’র প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে কর্মরত চৌকস অফিসারগণ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মোবাইল ফোন এবং বিকাশ/নগদ/রকেট প্রতারণা ও ডিজিট ভুল হয়ে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক উদ্ধারকৃত বিভিন্ন মডেলের ৩০(ত্রিশ)টি স্মার্ট ফোন এবং বিকাশে খোয়া যাওয়া ১,৭৩,০০/- (এক লক্ষ তিয়াত্তর হাজার) টাকা উদ্ধারপূর্বক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

এসময় হারানো মোবাইল ফোন ও বিকাশ/নগদ/রকেট প্রতারণা টাকা হাতে পেয়ে ভুক্তভোগীরা আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন। চুয়াডাঙ্গা সদর কোর্টে কর্মরত সাজ্জাদ হোসেন তুহিন বলেন, ইমো হ্যাকের মাধ্যমে প্রতারণা পূর্বক আমার নিকট আত্নীয়দের নিকট থেকে ৮৭,০০০/-(সাতাশি হাজার) টাকা হ্যাকার চক্র হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, চুয়াডাঙ্গার শরণাপন্ন হলে তারা অভিযান চালিয়ে রাজশাহী থেকে আমার কষ্টার্জিত টাকা উদ্ধার পূর্বক ফেরত আনতে সক্ষম হয়। আমার কষ্টার্জিত টাকা সাইবার টিমের আন্তরিকতায় এত দ্রুত ফিরে পাবো ভাবতে পারিনি’। পুলিশ সুপার মহোদয় ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন, চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); চুয়াডাঙ্গা; জনাব আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, ডিআইও-১, ডিএসবি; জনাব ফেরদৌস ওয়াহিদ, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা; জনাব শফিকুল ইসলাম, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, চুয়াডাঙ্গাসহ সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেল, চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত অফিসারগণ।