নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া ও আক্তার। কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানার অন্তর্গত কয়া ইউনিয়নের জনপদে এক আতংকের নামে পরিনত হয়েছে। আগ্নেয় অস্ত্রধারী অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী জিয়া ও আক্তারের ভয়ে পুরো কয়া ইউনিয়নন ভীত। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পর্যন্ত তার এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অবগত ও অতিষ্ট। তার ভয়ে বেশীর ভাগ ভুক্তভোগী থানা পুলিশের আশ্রয়ে না গিয়ে থাকেন মুখ বুঝে।এই জিয়া কয়া ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু হত্যা মামলার যাবজীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।দীর্ঘ ৯ বছর জেলখাটার পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও সন্ত্রসাী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে।জিয়ার এর বড় ভাই আজবাহার বাহিনীর প্রধান আজবাহার সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চু হত্যা মামলার প্রধান আসামি,তৎকালিন র্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।আজবাহার নিহত হওয়ার পরে তার সকল অবৈধ অস্ত্র সস্ত্র সব জিয়ার ও আক্তারের নিকটে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন,মাদক সেবন,জুয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রনসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে এই জিয়ার ও আক্তার জড়িয়ে রয়েছে।গত ১৯/০৫/২০২৩ তারিখে হরিপুের জুয়া খেলাকে কেন্দ্র কে যে দুইটি হত্যা কান্ড হয় তার মধ্যে মিরাজের হত্যার হুকুম দাতা হিসেবে জিয়ার ও আক্তারের নাম শোনা যাচ্ছে। আর সন্ত্রাসী কমকান্ডের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে জিয়ার ও আক্তার। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে কয়া এলাকাবাসী। এলাকায় দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কায়েম করাই তাদের নেশা ও পেশা। আর এ কর্মকান্ডের জন্য রয়েছে তাদের বড় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। যে বাহিনীর সহায়তায় ওই এলাকার বহু নিরীহ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের উপর অত্যাচার চালিয়ে ঘর তথা এলাকা ছাড়া করতে বাধ্য করেছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্র উচিয়ে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি তার নিত্যনৈমেত্তিক বিষয়ে পরিনত হয়েছে। এলাকাবাসির দাবি দ্রুতই এই জিয়ার ও আক্তার আইনের আওতায় এনে বিচারের জোড় দাবি জানায়।